উড়ছে চট্টগ্রাম, এবার হারাল তামিমের বরিশালকে
গুরুত্বপূর্ণ তারকাদের ছাড়াই আরেকটি দারুণ জয় তুলে নিয়েছে গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম। জয়ের ছন্দে উড়তে থাকা চট্টগ্রাম এবার হারাল তামিম ইকবালের ফরচুন বরিশালকে। টানা জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান আরো মজবুত করল মোহাম্মদ মিঠুনের দল।
আজ বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের ১৮তম ম্যাচে ফরচুন বরিশালকে সাত উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম। এই হারে টুর্নামেন্টে টিকে থাকার আশা প্রায় শেষ হয়ে গেল তামিমদের। টিকে থাকতে হলে নিজেদের শেষ ম্যাচে বড় জয়ের পাশাপাশি অপেক্ষা করতে হবে রাজশাহী বনাম চট্টগ্রামের ম্যাচের জন্য।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ১৪৯ রান করে ফরচুন বরিশাল। জবাব দিতে নেমে ১৮.৪ ওভারে জয় তুলে নেয় গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।
বরিশালের দেওয়া ১৫০ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার সৌম্য সরকার ও সৈকত আলী। ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে তোলেন ৭৯ রান। দশম ওভারে এই জুটি ভাঙেন মেহেদী হাসান মিরাজ। সালাউদ্দিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান সৈকত। ফেরার আগে ছয় বাউন্ডারি ও এক ছক্কায় ৩৩ বলে ৩৯ রান করেন তিনি।
সৈকত ফিরলেও উইকেটে থিতু ছিলেন সৌম্য। ৩২ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। চলতি টুর্নামেন্টে বাঁহাতি ওপেনারের এটাই প্রথম হাফসেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত ৬২ রানে থামে সৌম্যের ইনিংস। সুমনের বলে মিড অফে ক্যাচ তুলে দেন সৌম্য, সেখানে ছিলেন তামিম। সহজেই তালুবন্দি করেন বরিশাল অধিনায়ক। ৩৭ বলে সৌম্যের ইনিংসে ছিল সাত বাউন্ডারি ও তিন ছক্কা।
দুই ওপেনার ফেরার পর বাকি কাজ সারেন মাহমুদুল হাসান জয়। বাকিদের নিয়ে সহজেই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মাহমুদুল। ম্যাচ শেষে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদুল।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সাইফ হাসান। ওপেনিং জুটিতে দুজন মিলে তোলেন ৮৭ রান। অবশ্য শূন্য রানেই বিদায় নিতে পারতেন তামিম। মেহেদী হাসানের বলে ক্যাচ তুলে দিয়েছিলেন তিনি, কভারে সেই ক্যাচ ফেলে তামিমকে জীবন দেন সৈকত।
ব্যক্তিগত ১৪ রানে আরেকবার জীবন পান তামিম। দ্বিতীয় দফায় তামিমকে বাঁচিয়ে দেন চট্টগ্রাম অধিনায়ক মোহাম্মদ মিঠুন। সহজ ক্যাচ ধরেও ছেড়ে দেন তিনি। দুই দফায় জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৪৩ রানে থামেন তিনি। ৩৯ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল পাঁচ বাউন্ডারি।
তামিমের পর আউট হয়ে ফিরেন সাইফ। ৪৬ রানের মাথায় তাঁকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। ৩৩ বলে তাঁর ইনিংসে ছিল ছয় বাউন্ডারি দুই ছক্কা।
দুই ওপেনারের ফেরার পর উইকেট বিলাতে থাকে বরিশাল। নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান পারভেজ হোসেন ইমন। ১৪ রানে জিয়াউর রহমানের বলে ফিরে যান তিনি। ব্যর্থ হন তৌহিদ হৃদয়। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে বেশিদূর যেতে পারেনি বরিশাল। নির্ধারিত ওভারে ১৪৯ রানে থামে তামিম ইকবালের দল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১৪৯/৬ (তামিম ৪৩, সাইফ ৪৬, পারভেজ ১৪, তৌহিদ ৪, মিরাজ ১, শুক্কুর ২, সুমন ৬, আফিফ ২৮; সৈকত ৪-০-১৬-২, নাহিদুল ৩-০-২৮-০, মেহেদী ৪-০-৩২-০, সঞ্জিত ৪-০-২২-২, রুহেল ২-০-২২-০, জিয়াউর ৩-০-২৫-২)।
গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম : ১৮.৪ ওভারে ১৫৩/৩ (সৌম্য ৬২ , সৈকত ৩৯, মিঠুন ৩, মাহমুদুল ৩১, সৈকত ১২ ;মিরাজ ৪-০-৩২-১, তাসকিন, সালাউদ্দিন ২.৪-০-২৩-০, রাব্বি ৩-০-২৭-০, সুমন ৪-০-৩০-২,সাইফ ১-০-৯-০)।
ফল : সাত উইকেটে জয়ী গাজী গ্রুপ চট্টগ্রাম।