নাঈমের সেঞ্চুরি ম্লান, দারুণ জয়ে শেষ চারে বরিশাল
১৯৪ রানের বিশাল লক্ষ্য। জবাব দিতে নেমে চমৎকার খেলেছেন তরুণ ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম। মাঠের চারপাশে খেললেন দৃষ্টিনন্দন সব শট। তুলেন নিলেন টি- টোয়েন্টি ক্যারিয়ায়ের প্রথম সেঞ্চুরি। কিন্তু তাঁর সেঞ্চুরি ম্লান করে বেক্সিমকো ঢাকাকে দুই রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু টুর্নামেন্টের শেষ চারে উঠল ফরচুন বরিশাল।
বরিশালের জয়ে বিদায়ের ঘণ্টা বাজল মিনিস্টার গ্রুপ রাজশাহীর। বরিশালসহ দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠল চট্টগ্রাম, খুলনা ও ঢাকা।
আজ শনিবার টুর্নামেন্টের ২০তম ম্যাচে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে তিন উইকেটে ১৯৩ রান করে ফরচুন বরিশাল। জবাবে ১৯১ রানে থামে বেক্সিমকো ঢাকার ইনিংস। ব্যাট হাতে ঢাকার হয়ে ৬৪ বলে ১০৫ রান করেন নাঈম।
বড় লক্ষ্যের জবাবে শুরুতেই বিপদে পড়ে যায় ঢাকা। অভিজ্ঞ বোলার শুভর বোলিংয়ে সাব্বির রহমান, মুশফিকুর রহিম ও আল আমিনকে হারায় ঢাকা। সেখান থেকে দলকে উদ্ধার করেন তরুণ ওপেনার নাঈম। শুরুতে বেশ সাবধানী ব্যাটিং করেন, হাফসেঞ্চুরির পর খেলেন হাতখুলে। ৪৩ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি। অবশ্য ৪৯ রানেই আউট হতে পারতেন। রাব্বির বলে ক্যাচ তুলে দেন তিনি, মিড উইকেটে ক্যাচমিস করে নাইমকে জীবন দেন পারভেজ।
হাফসেঞ্চুরির পর আরো ভয়ানক হয়ে ওঠেন নাঈম। ৪৩ বলে প্রথম হাফসেঞ্চুরি করা নাঈম পরের পঞ্চাশ ছুঁতে খেলেন ১৭ বল। তবে দলকে জেতাতে পারলেন না। ৬৪ বলে ১০৫ রানে থামেন নাঈম। এরপর ৪১ রানে ফেরেন ইয়াসির। দুই ব্যাটসম্যান ফেরার পর তীরে তরি ডুবল ঢাকার।
টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বেশ দেখেশুনেই শুরু করেন তামিম। ওপেনিং জুটিতে সাইফের সঙ্গে তোলেন ৫৯ রান। অষ্টম ওভারে এই জুটি ভাঙেন আল আমিন। লং অফে সাব্বির রহমানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ১৯ রানে ফেরেন বরিশাল অধিনায়ক।
অধিনায়ক ফেরার পর পারভেজ হোসেন ইমনের ব্যাটে কিছুক্ষণ লড়াই করে বরিশাল। একাদশ ওভারে পারভেজকে ফিরিয়ে ওই জুটি ভাঙেন মুক্তার আলী। ডানহাতি পেসারের করা অফ স্টাম্পের বল মোকাবিলা করে ডিপ মিডউইকেটে মোহাম্মদ নাঈমের হাতে ক্যাচ তুলে দেন পারভেজ (১১)।
এর মধ্যে ৪১ বলে ব্যক্তিগত হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন সাইফ। ৫০ ছোঁয়ার পরপরই রুবেল হোসেনের বলে উইকেটকিপারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। এরপর চতুর্থ উইকেটে বাকি কাজ সারেন আফিফ ও তৌহিদ। পুরো টুর্নামেন্টে রানের খরায় থাকা আফিফ মাত্র ২৫ বলে খেলেন ৫০ রানের ইনিংস। তাঁর সঙ্গে থাকা তৌহিদও খেলেন দারুণ ইনিংস। মাত্র ২২ বলে তুলেন নেন ৫১ রান। আফিফ-তৌহিদের এই জুটি থেকে মাত্র ৩৮ বলে আসে ৯৩ রান। দুই তরুণের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বিশাল পুঁজি পায় বরিশাল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ফরচুন বরিশাল : ২০ ওভারে ১৯৩/৩ (তামিম ১৯, সাইফ ৫০, পারভেজ ১৩, আফিফ ৫০, তৌহিদ ৫১; মুক্তার ৪-০-৪৮-১, রবিউল ৪-০-৪০-০, নাসুম ৩-০-১৪-০, রুবেল ৪-০-২৮-১, শফিকুল ৪-০-৫১-১, আল আমিন ১-০-৫-১।
বেক্সিমকো ঢাকা : ২০ ওভারে ১৯১/৬ (নাঈম ১০৫, সাব্বির ১৯, মুশফিক ৫, আল আমিন ০, ইয়াসির ৪১, আকবর ৯, মুক্তার ৬; মিরাজ ৪-০-৩৩-০, তাসকিন ৪-০-২৮-০, শুভ ৩-০-১৩-৩, কামরুল ৩-০-৪১-১, সুমন ৪-০-৪৪-১)।
ফল : বরিশাল দুই রানে জয়ী।