ইউরো
রাতে সেমির মহারণে মুখোমুখি স্পেন-ফ্রান্স
ফুটবলে সৌন্দর্য এসেছে লাতিনের হাত ধরে, তাতে গতি ও প্রতিযোগিতায় পূর্ণতা দিয়েছে ইউরোপ— ফুটবল অঙ্গনে এমন কথা বেশ প্রচলিত। খুব একটা ভুল, তা বলা যাবে না মোটেও। আধুনিক ইউরোপিয়ান ফুটবলের দিকে তাকালে তো একদমই না।
তেমনই একটি গতিশীল ও প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঠাসা আরও একটি ম্যাচ মঞ্চস্থ হতে চলেছে আজ মঙ্গলবার (৯ জুন)। বাংলাদেশ সময় দিনগত রাত ১টায় মুখোমুখি হবে স্পেন ও ফ্রান্স। ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে জার্মানির অ্যালিয়াঞ্জ অ্যারেনায় মাঠে নামবে দল দুটি।
চলমান আসরে স্পেন আছে দুর্দান্ত ছন্দে। একমাত্র দল হিসেবে এখন পর্যন্ত খেলা পাঁচ ম্যাচে প্রতিটিতে অপরাজিত তারা। যৌথভাবে আসরে সর্বোচ্চ ১১ গোল দিয়েছে দলটি। যে স্পেনকে তিকিতাকা ফুটবলের জন্য প্রবল সমালোচনার মুখোমুখি হতে হয়েছিল, সেই পজিশন নির্ভর ফুটবল থেকে অনেকটাই সরে এসেছে তারা।
রক্ষণ থেকে আক্রমণ, কোথাও কোনো খুঁত নেই। টুর্নামেন্টে প্রতিপক্ষ রক্ষণের জন্য রীতিমতো ত্রাস হয়েছে স্পেনের আক্রমণভাগ। বিপক্ষের গোলমুখে সর্বোচ্চ ১০২টি শট নিয়েছে লা রোজারা। অন্যদিকে, নিজেদের গোলমুখে সবচেয়ে বেশি ২৩০ টি রিকোভারিও তাদের।
ফ্রান্স অবশ্য অতশত-র ধার ধারে না। নিজেদের দিনে কিলিয়ান এমবাপ্পে-আঁতোয়ান গ্রিজম্যানরা কতটা ধারালো, সেটি না বললেও চলে। গত আট বছরে চার টুর্নামেন্টের মধ্যে তিনটিতেই ফাইনাল খেলেছে ফরাসিরা। এবারের ইউরোতে খেলা পাঁচ ম্যাচের চারটিতেই তেকাঠি অক্ষত রেখেছেন ফরাসি গোলরক্ষক মাইক মাইনান। লা ব্লুদের কোচ দিদিয়ের দেশমের স্পষ্ট বার্তা— ‘আমরা সেমিফাইনালে আছি এবং আমাদের লক্ষ্য এটি জয় করা।’
স্প্যানিশ কোচ লুইস দে লা ফুয়েন্তে সরাসরি না বললেও হুংকারই দিয়ে রাখলেন একটু ভিন্নভাবে। ফুয়েন্তের কথা— ‘জার্মানিকে আগের ম্যাচে হারালেও ছেলেরা তৃপ্ত নয়। অতৃপ্তি ঘোচাতে চায় তারা।’
আর অতৃপ্তি তো তখনই ঘুটবে, যখন দুয়ারে ধরা দেবে জয়। খুলবে ফাইনালের পথ।