হিন্দু মহাসভার হুমকি, বাংলাদেশের নিরাপত্তায় কী ব্যবস্থা নিচ্ছে ভারত?
কানপুর টেস্টের আগে ম্যাচের চেয়ে বেশি আলোচনায় হিন্দু মহাসভা। ভারতের এই সংগঠনটি সিরিজ শুরুর আগ থেকেই নানা হুমকি দিয়ে আসছিল। তাদের চাওয়া, সিরিজটি বাতিল করা হোক। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) সেটি করেনি। চেন্নাইয়ে প্রথম টেস্টের পর আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে কানপুরে শুরু হবে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) হিন্দু মহাসভা ঘোষণা দিয়েছে ম্যাচের দিনগুলোতে কানপুরে কর্মসূচি রাখার। সংগঠনটির সহ-সভাপতি ড. জয়বীর ভরদ্বাজ জানিয়েছেন, যেকোনো মূল্যে তারা কানপুর ও গোয়ালিয়রে (প্রথম টি-টোয়েন্টির ভেন্যু) ম্যাচ অনুষ্ঠিত হতে দেবে না। এমনকি কানপুরের গ্রিন পার্ক স্টেডিয়ামের বাইরে গত পরশু তারা আগুন জ্বালিয়ে পালন করেছে সংগঠনটির কিছু রীতিনীতি। পাশাপাশি গোয়ালিয়রে আগামী ৬ অক্টোবর প্রথম টি-টোয়েন্টির দিন হরতালের ডাক দিয়েছে।
তবে, তা নিয়ে চিন্তিত নয় ভারত। কানপুর পুলিশ ইতোমধ্যে নিরাপত্তা বাড়িয়েছে। কানপুরের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার হরিশ চন্দ্র জানিয়েছেন, তারা নিরাপত্তার জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছেন। অনুশীলনের দিনগুলোতে দুই হাজার করে পুলিশ থাকবে দায়িত্বে। ম্যাচের দিন স্টেডিয়ামের আশপাশে আরও এক হাজার পুলিশ মোতায়েন করা হবে। খবর ভারতীয় গণমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের।
গতকাল কানপুরে পৌঁছেছে বাংলাদেশ দল। আজ ও আগামীকাল করবে অনুশীলন। বাংলাদেশের টিম হোটেল থেকে মাঠের দুরত্ব এক হাজার ৫০০ মিটার। পুরো পথে খেলোয়াড় ও ভিআইপিদের জন্য দুই হাজার পুলিশ সব সময় নিয়োজিত থাকবে। ম্যাচের দিনগুলোতে স্টেডিয়ামের আশপাশে বাড়তি পুলিশ রাখা হবে নিরাপত্তার খাতিরে।