আগুনে পুড়ে আত্মগোপনে থাকা স্বেচ্ছাসেবক লীগনেতার মৃত্যু

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় আগুনে পুড়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা এমদাদ সাগরের (৩৩) মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার (৩ মার্চ) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ঢাকার শাহজাদপুর এলাকায় সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ডে তার মৃত্যু হয়। তিনি গ্রেপ্তার এড়াতে ওই হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন। তবে তার মৃত্যুর খবর তিন দিন পর গতকাল বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) জানতে পেরেছে তার পরিবার। মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় গিয়ে স্বজনেরা তার মরদেহ শনাক্ত করে বাড়িতে নিয়ে আসে। আজ শুক্রবার জোহরের নামাজের পর তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
মারা যাওয়া এমদাদ সাগর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের মৃত জারু মিয়ার ছেলে। তিনি বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের দিন থেকে সাগর পলাতক ছিলেন। তার বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার ভাটারা থানার শাহজাদপুরে বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ের সৌদিয়া হোটেলে অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এতে চারজন মারা যান। তাদের মধ্যে একজন ছিলেন এমদাদ সাগর। নাম ও পরিচয় শনাক্ত না করতে পারায় তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়। গতকাল দুপুরে ঢাকার গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদ হাসান ফোন করে বিজয়নগর থানা পুলিশকে পাসপোর্টের ছবি পাঠিয়ে নিহত যুবকের বিষয়ে খোঁজ নিতে বলেন। বিজয়নগর থানা পুলিশ এমদাদের মামাতো ভাই লিটন মুন্সিকে বিষয়টি জানান। এরপরই এমদাদের মৃত্যুর বিষয়টি স্বজন ও পরিবারের লোকজন জানতে পারেন।
এ বিষয়ে লিটন মুন্সি বলেন, এক মাস আগে এমদাদ মালয়েশিয়া যান। সেখান থেকে শ্রীলঙ্কা যান। গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশে এসে রাজধানীর শাহজাদপুরে সৌদিয়া হোটেলে উঠেছিলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রওশন আলী এনটিভি অনলাইনকে বলেন, গুলশান থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বিজয়নগর থানা পুলিশকে পাসপোর্টের ছবি পাঠানোর পর নিহত যুবকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে।