কীভাবে বুঝবেন আপনার ব্রেইন টিউমার হয়েছে
অনেকে ব্রেইন টিউমারের সমস্যায় ভুগছেন। আজ আমরা একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছ থেকে ব্রেইন টিউমার সমস্যা ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব।
এনটিভির নিয়মিত স্বাস্থ্যবিষয়ক অনুষ্ঠান স্বাস্থ্য প্রতিদিনের একটি পর্বে ব্রেইন টিউমার সমস্যা ও প্রতিকার সম্পর্কে বলেছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ডা. মুনা তাহসিন।
সঞ্চালকের এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, মানুষের শরীরে বিভিন্ন অঙ্গে টিউমার হয়ে থাকে। এই ধরনের টিউমার যখন ব্রেইনে হয়, তখন আমরা তাকে ব্রেইন টিউমার বলি। মানুষের শরীরে দুই ধরনের টিউমার হয়। একটি বেনাইন ও অপরটি মেলিগ্যান্ট। বেনাইন হলো কম ক্ষতিকারক টিউমার আর মেলিগ্যান্ট হলো ক্যানসারজাতীয় টিউমার।
ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ব্রেইনে কম ক্ষতিকারক কিছু টিউমার আছে। যেমন মেনিজিয়োমা, অ্যাকুইস্টিক নিউরোমা, ক্রেনিয়োফ্রেনজিয়োমা—কিন্তু ব্রেইনে ক্যানসারজাতীয় টিউমারের সংখ্যাটা বেশি। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হলো গ্লাইয়োমা। এই গ্লাইয়োমা বিভিন্ন ধরনের আছে।
ডা. মোহাম্মদ হোসেন যুক্ত করেন, একজন রোগী যখন আমাদের কাছে আসে, সাধারণত মাথাব্যথা হয়—সব মাথাব্যথাই যে ব্রেইন টিউমার, তা নয়। যাদের ব্রেইন টিউমার হয়, তাদের সকালবেলা দেখা যায় যে মর্নিং হেডেক। সকালে মাথাব্যথা হয়, মাথাব্যথার সঙ্গে বমি হয় বা রোগী অজ্ঞান হয়ে যায়। মাথাব্যথার সঙ্গে যখন কোনও মানুষের খিঁচুনি হয় অথবা একদিকে হাত-পা অবশ হয়ে যাওয়া অথবা কথা বলতে না পারা অথবা হাঁটতে গেলে একদিকে পড়ে যাওয়া; তখন আমরা সন্দেহ করি, এই ধরনের রোগীর ব্রেইনে টিউমার হতে পারে।
ব্রেইন টিউমার সমস্যা ও প্রতিকার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে উপর্যুক্ত ভিডিওটি সম্পূর্ণ দেখুন।