বৈশাখে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে ১০ পরামর্শ

বৈশাখী গরমে পরিবেশের তাপমাত্রা অনেক ওঠানামা করে। এটি মানবদেহের স্বাভাবিক কিছু কার্যক্রম নষ্ট করে দেয়। এতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ে। তাই বৈশাখী আনন্দে চাই বাড়তি সতর্কতা।
বৈশাখী আনন্দ উপভোগ করার জন্য শারীরিক সুস্থতা খুবই প্রয়োজন। সুস্থ থাকার জন্য চাই পরিমিত ও নিয়মিত খাবার খাওয়া। অস্বাস্থ্যকর খাবার ও অতিভোজন আপনার ও পরিবারের আনন্দ নষ্ট করে দিতে পারে। তাই পয়লা বৈশাখের দিনটিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন হোন।
বৈশাখী গরমে স্বাস্থ্যঝুঁকি
* অস্বাস্থ্যকরভাবে তৈরি পান্তা-ইলিশ খেলে পেটেব্যথা, বমি, ফুড পয়জনিং হতে পারে।
* এ সময় তৈলাক্ত ভাজা-পোড়া খাবার খেয়ে হঠাৎ এসিডিটি বেড়ে যেতে পারে।
* অতিভোজন ও অনিয়ন্ত্রিত খাবার খেলে পেট ফাঁপা ও বদহজম হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে।
* বাইরের অস্বাস্থ্যকর পানি, শরবত খাওয়ার কারণে পাতলা পায়খানা ও আমাশয় হতে পারে।
* গরমে বেশি ঘোরাঘুরির কারণে শরীরে পানি ও লরণের ঘাটতি হতে পারে। এ থেকে অনেক সময় অজ্ঞান হওয়ার মতো ঘটনা ঘটে।
* ধুলাবালি থেকে শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
* বেশি মানুষের সংস্পর্শে ফ্লুজাতীয় ঠান্ডা, কাশি, জ্বর, মাথাব্যথা হতে পারে।
স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয়
১. আবেগে বা লোকের সঙ্গে তাল মিলিয়ে কোনো অস্বাস্থ্যকর খাবার খাবেন না।
২. বাইরের রঙিন শরবতে আকৃষ্ট না হয়ে ডাবের পানি ও বিশুদ্ধ পানি পান করুন।
৩. ফ্লুজাতীয় ঠান্ডা, কাশি, শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি এড়াতে মুখে মাস্ক ব্যবহার করুন।
৪. বিভিন্ন ছোঁয়াচে রোগ এড়াতে বেশি মানুষের ভিড় এড়িয়ে চলুন।
৫. গরম আরামের জন্য হালকা রঙের পাতলা সুতির পোশাক পরুন এবং মাথায় ছাতা ব্যবহার করুন।
৬. মিষ্টিজাতীয় খাবার কম খান।
৭. কম লবণ ও কম চর্বিজাতীয় খাবার খান।
৮. বাইরে যাওয়ার সময় প্রয়োজনীয় ওষুধ সঙ্গে রাখুন।
৯. রং মেশানো কোনো খাবার খাবেন না। স্বাস্থ্যকর খাবার খান।
১০. শৃঙ্খলা মেনে চলুন। অতি উৎসাহী বা আবেগতাড়িত হয়ে ঝুঁকিপূর্ণ কোনো কাজ করবেন না।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।