কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় সতর্ক হোন

ঈদ মানে খুশি আর আনন্দ। প্রত্যেক সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য কুরবানি দেওয়া ওয়াজিব। কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় কিছু সতর্কতা অবলম্বন না করলে এক দিকে যেমন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে, তেমনি ঈদের খুশিকে নষ্ট করবে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় স্বাস্থ্য ঝুঁকি যা হতে পারে
১) অসতর্ক থাকলে চামড়া কাটার সময় শরীর কাটতে পারে।
২) মাংস কাটার সময় চাকু বা ছুরি দিয়ে আঙ্গুল ও চামড়ায় খোঁচা বা কেটে যেতে পারে।
৩) দীর্ঘ সময় মাংস কাটাকাটির জন্য হাতে ফোসকা পড়তে পারে।
৪) হঠাৎ করে গরু নিয়ে টানাটানি, চামড়া ছোলা, মাংস কাটাকাটিতে হাত-পায়ে ব্যথা হতে পারে।
৫) কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় চোখে রক্ত গিয়ে ইনফেকশন হতে পারে।
৬) পশু সঠিকভাবে জবাই না হলে অর্ধ জবাই পশু ওঠে দৌড় দিলে ভয়ের কারণে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়তে পারে।
৭) মাংসের হাড় কাটার সময় হাত ফসকে চাপাতি, দা, কুড়ালের কোপ লেগে বেশি রক্তক্ষরণ হতে পারে।
৮) পশু জবাইয়ের পর রক্ত ক্ষরণের সময় না দিয়ে চামড়া ও মাংস কাটলে রক্ত মিশ্রিত মাংস খেলে বিভিন্ন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বাড়ে।
৯) মাংস কাটার জায়গা ও ছুরি, চাপাতিসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি ভালোভাবে পরিষ্কার না করলে স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়তে পারে।
কোরবানির পশু জবাইয়ের সময় স্বাস্থ্যঝুঁকি প্রতিরোধে করণীয়
১) মোটামোটি দক্ষ লোক দিয়ে ভালোভাবে পশু জবাই করুন।
২) হাতে নরম সুতি কাপড় পেঁচিয়ে কাটাকাটি করলে ফোসকা পড়বে না।
৩) যদি কেটে যায়, তবে প্রথমে রক্ত বন্ধ করে ভালোভাবে হেক্সিসল দিয়ে পরিষ্কার করে এন্টিসেপ্টিক মলম লাগাতে পারেন।
৪) চামড়া ও মাংস কাটার সময় তাড়াহুড়া করবেন না।
৫) পশু জবাইয়ের পর রক্তক্ষরণের জন্য পর্যাপ্ত সময় দিন।
৬) মাংস কাটার ফাঁকে ফাঁকে বিশ্রাম নিয়ে মাংস কাটেন।
৭) মাংসের হাড় কাটার সময় সাবধানের সাথে চাপাতি, কুড়ালের ব্যবহার করুন।
লেখক : সহকারী অধ্যাপক, গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজ, সাভার, ঢাকা।