চশমার পাওয়ার বারবার পরিবর্তন হয় কেন?

চশমা পরলে দেখা যায়, প্রায়ই চশমার পাওয়ার পরিবর্তন করতে হচ্ছে। এর কারণ কী? এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানের ২৫৫৮তম পর্বে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. আবদুল মান্নান। বর্তমানে তিনি আনোয়ার খান মডার্ন মেডিকেল কলেজের চক্ষু বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
প্রশ্ন :অনেক সময় আমরা শুনতে পাই, চোখের পাওয়ার পরিবর্তন হয়ে গেছে,অর্থাৎ একটা চশমা আপনারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দিয়েছেন। এই চশমা পরে সে ভালোই দেখছিল। দুই-এক বছর পর বা একটা সময় গিয়ে ওই চশমা দিয়ে সে আর আগের মতো দেখছে না। এটি কেন হয়? সেটা ঠিক কীভাবে করেন?
উত্তর : চশমা যদি একবার নেওয়া হয়,পরে সবকিছুরই পরিবর্তন হয়। চশমা এখন আমি যাকে মাইনাস টু দিলাম বা মাইনাস ওয়ান দিলাম, ছয় মাস পর এর পরিবর্তন হতেই পারে। এই পরিবর্তন হওয়াটা স্বাভাবিক। অস্বাভাবিক কিছু নয়। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রেই পরিবর্তন হয়। বাড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, কমার সম্ভাবনা সাধারণত কম থাকে। অনেকে আবার যে পরিমাণ পাওয়ার দেওয়া আছে, সেটি অনেক বছর বহন করে। বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে দেখা যায় পরিবর্তন হয়।
একটি শিশুকে হয়তো আমি ১০ বছর বয়সে মাইনাস টু পাওয়ারের চশমা দিলাম। সাধারণত তার বাড়ার প্রবণতা থাকবে ২০ থেকে ২৫ বছর পর্যন্ত। এখন একজনের ৪০ বছর বয়সে এসে যদি মাইনাস টু পরে, মাইনাস থ্রি পরে, সাধারণত সে ক্ষেত্রে চশমার পাওয়ারের কোনো পরিবর্তন হয় না, যদি চোখের মধ্যে অন্য কোনো রোগ না দেখা দেয়। সাধারণত ছানি পড়লে, আমরা যাকে ক্যাটারেক্ট আই বলি, এখানে পাওয়ারের পরিবর্তনটা খুব কম হয়। বিভিন্ন কারণে তার দৃষ্টির সমস্যা হতে পারে।
সে ক্ষেত্রে যে কারণে তার দৃষ্টি কমে যাচ্ছে, এর চিকিৎসা করা জরুরি। চশমা দিয়ে যে সমস্যাগুলো ঠিক করি, এগুলো আসলে রোগ নয়, ত্রুটি। ত্রুটির কারণে বস্তুর প্রতিবিম্বটা রেটিনার স্পর্শকাতর অংশে আলোকপাত হয় না। এ জন্য রোগীরা দেখে না। সে ক্ষেত্রে চশমা দিয়ে প্রতিবিম্বটা যেন ঠিক জায়গায় পড়ে, এটি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়।