কেন লেবু খাবেন?
ভিটামিন সি-এর অতি পরিচিত উৎস লেবু। লেবুর উপকারিতার কথা কারও অজানা নয়। লেবুর নানা গুণের জন্য প্রতিদিনের খাওয়ার পাতে এক টুকরো লেবু রাখা আবশ্যক। তবে লেবুর পুরোটাই গুণসমৃদ্ধ হলেও মাত্রাতিরিক্ত লেবু খাওয়া উচিত নয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন রোজ লেবু খাওয়া উচিত।
লেবুর উপকারিতা
দৈনন্দিন জীবনে লেবুর নানা ধরন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। শুধু খাওয়ার ক্ষেত্রেই নয় রূপচর্চায়ও লেবু ভীষণ জনপ্রিয়। পানিতে মিশিয়ে বা ভাতের সাথে এক টুকরো লেবু খেলে কী কী উপকার হতে পারে চলুন তা জেনে নেওয়া যাক-
১.অন্যান্য ফলের তুলানায় লেবুতে ভিটামিন সি-এর পরিমাণ অনেক বেশি আর লেবু ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম সমৃদ্ধ। লেবু অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসের উৎস এবং ইমিউনিটি বুস্টার হিসেবে কাজ করে তাই, প্রতিদিন একটি করে লেবু খাওয়ার পরামর্শ দেন ডাক্তাররা।
২.চুল,ত্বক ছাড়াও শরীরের ধমনী ভাল রাখতে ও এর কার্যকারিতা ঠিক রাখতে লেবু সহায়তা করে। এর ফলে পরোক্ষ ভাবে হার্টের কার্যক্ষমতা ও রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে।
৩.শরীরের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে লেবুতে থাকা ভিটামিন সি। তাই ফুড পয়জনিং বা ডায়েরিয়ার মতো সমস্যায় লেবুর রস খুবই উপকারি। লেবুর সাইট্রিক এসিড হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
৪.লেবু লো গ্লাইসেমিক ইনডেক্সযুক্ত হওয়ায় ডায়াবেটিক রোগীদের পক্ষে লেবুর রস উপকারী। আর লেবু ম্যাগনেসিয়াম,পটাশিয়াম যুক্ত হওয়ায় উচ্চ রক্তচাপযুক্ত রোগীদের জন্য ভাল কারণ এর ফলে হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।
লেবু যেভাবে খাবেন
ভিটামিন সি পানিতে দ্রাব্য ভিটামিন তাই পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে বা শরবত তৈরি করে খেতে পারেন। প্রতিদিন লেবু ভাতের সাথেও খেতে পারেন। বাড়িতে সকালে খাওয়ার ফল না থাকলে লেবুর রস খেতে পারেন। ছানা তৈরির ক্ষেত্রে লেবুর রস ব্যবহার করা ভালো তবে লেবু এবং দুধ পরপর খাওয়া ঠিক নয়। অনেকের অভ্যাস আছে গরম পানির সাথে লেবুর রস মিশিয়ে খাওয়ার,যা ঠিক নয়। কারণ গরম পানির উচ্চ তাপমাত্রায় লেবুর ভিটামিন সি নষ্ট হয়ে যায়। আর তাছাড়া সকালে খালি পেটে লেবু খাওয়া ঠিক নয় এতে অ্যাসিটিডি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
অতিরিক্ত লেবু খাওয়া ঠিক নয়
করোনা মহামারির পর থেকে প্রায় সব বাড়িতেই লেবু খাওয়া অভ্যাস বেড়ে গিয়েছে। কেউ খাবারের সাথে কেউবা চায়ের সাথে লেবু খাচ্ছেন। প্রতিদিন একটা লেবু খাওয়া যেমন উপকারী তেমনি অতিরিক্ত লেবু খাওয়া ডেকে আনতে পারে নানা বিপদ। অতিরিক্ত লেবু খেলে যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তাদের পটাশিয়াম লেভেল বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে কারণ লেবুতে পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি। যারা ইউরিক এসিডের রোগী তাদের ক্ষেত্রেও লেবু খাওয়ার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। আর অনেকেই সরাসরি লেবু খেয়ে থাকেন যা দাতের এনামেলকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। খালি পেটে লেবু খেলে লেবুর সাইট্রিক এসিড পাচকরসের অ্যাসিডের সাথে মিলে পাকস্থলীতে আলসার সৃষ্টি করতে পারে। তাই আতিরিক্ত লেবু খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত।
সূত্র: বোল্ডস্কাই