‘আমি সত্য বলেছি, তাতে যদি ওনার মানইজ্জত যায় তবে বিষয়টা আলাদা’
বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিষয়ে হাইকোর্টের আদেশের পর আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেন, ‘আমি স্পষ্ট মনে করি যে আদেশটি হয়েছে সেখানে কোন পক্ষই বিজয়ী হয়নি, পরাজিতও হয়নি। উনি চেয়েছেন যে মানহানিকর কথাবার্তা যেন আমরা না বলি। আমি তো ওনার কথা সত্যই বলেছি, তাতে ওনার যদি মানইজ্জত যায়, তবে বিষয়টা আলাদা।’
আজ বুধবার (১৪ জুন) হাইকোর্টের আদেশ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
ব্যারিস্টার সুমন আরও বলেন, ‘আদালত আমাদের তার বিরুদ্ধে কোনো মানহানিকর বক্তব্য বন্ধ করতে নির্দেশ দেননি। আদালত শুধু অর্থ পাচারের অভিযোগে দুদক যে তদন্ত করছে সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে নিষেধ করেছেন। আর কোনো বিষয়ে কথা বলতে আদালত নিষেধ করেননি।’
এর আগে বুধবার সকালে ফিফার টাকা নিয়ে দুর্নীতি ও অর্থপাচারের অভিযোগে তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি কাজী সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে গণমাধ্যম ও ব্যারিস্টার সুমন কোনো ধরনের মতামত প্রকাশ করতে পারবে না বলে আদেশ দেন হাইকোর্ট।
একইসঙ্গে মতামত দেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে বাফুফে সভাপতিকেও। বুধবার বিচারপতি জাফর আহমেদ ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। পরে কাজী সালাউদ্দিন গণমাধ্যমে বলেন, জীবনে প্রথমবার আমি হাইকোর্টে এসেছি। এসব বিষয় নিয়ে আদালতে আসাটা আমার জন্যে দুঃখজনক।
গতকাল মঙ্গলবার (১৩ জুন) সকল মানহানিকর বক্তব্য সরাতে ব্যারিস্টার সুমনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাফুফে সভাপতি।
এর আগে ৬ জুন ফুটবল ফেডারেশন ও কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা করায় ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমনসহ মোট ১৭ ব্যক্তি/সংস্থাকে আইনজীবী আজমালুল হোসেন কিউসির মাধ্যমে আইনি নোটিশ দেন কাজী সালাউদ্দিন।
ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল ফেডারেশন ও কাজী সালাউদ্দিনকে নিয়ে প্রায়ই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা করে থাকেন। এই আইনজীবী ছাড়াও বাফুফে থেকে সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাহী সদস্য আরিফ হোসেন মুন, ক্রীড়া সংগঠক শাকিল মাহমুদ চৌধুরীকেও এই আইনি নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
পাশাপাশি গণমাধ্যমে প্রচারিত কিছু সংবাদ এবং গণমাধ্যমে বক্তব্য প্রদান করা একটি টিভি চ্যানেল ও পত্রিকার সংবাদকর্মীদেরও আইনি নোটিশ দিয়েছেন সালাউদ্দিনের আইনজীবী।
তবে সালাউদ্দিনের এই আইনি নোটিশ প্রদান নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। আজমালুল হোসেন কিউসি ফিফা থেকে নিষিদ্ধ বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগের হয়ে মামলা লড়ছেন। সোহাগের মামলা লড়া আইনজীবী দিয়েই সালাউদ্দিন লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন। এর মাধ্যমে সোহাগের আইনি পদক্ষেপ ইস্যুতে সালাউদ্দিনের সম্পৃক্ত থাকার বিষয়টি আরও অনেক স্পষ্ট হয়েছে বলে ধারণা ফুটবলসংশ্লিষ্ট অনেকের।