ফুলকপি পুরো সেদ্ধ না আধাসেদ্ধ খাবেন?
এখন শীতের মৌসুম। বাজারে ঢুঁ মারলেই মিলবে তাজা ফুলকপি। ফুলকপি অত্যন্ত পুষ্টিকর ও রোগ প্রতিরোধে সহায়ক। ছোট-বড় সবারই পছন্দ ফুলকপি।
এনটিভির স্বাস্থ্যবিষয়ক এক আয়োজনে ফুলকপির পুষ্টিগুণ নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহান। তিনি বলেন, ফুলকপি সাদা রঙের হলেও এতে প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। ফুলকপিতে বেশি পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে। পাশাপাশি এতে ভিটামিন এ ও ভিটামিন সি রয়েছে। এতে আরো রয়েছে ভিটামিন কে। ভিটামিন এ আমাদের চোখের সৌন্দর্যের পাশাপাশি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে এবং চুলের সৌন্দর্য ভালো রাখে। ছোট বাচ্চারা, বিশেষ করে যারা বিভিন্ন ধরনের সবজি খেতে চায় না, তারা কিন্তু ফুলকপির বড়া খুব পছন্দ করে।
ইশরাত জাহান বলেন, ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন এ। ভিটামিন এ আমাদের সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আমাদের শরীরে যে মারণব্যাধি ক্যানসার বাসা বাঁধে, তার কারণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে, এ ধরনের সবজি ফুলকপি।
ইশরাত জাহান আরো বলেন, ফুলকপিতে প্রচুর ফাইবার বা আঁশ রয়েছে এবং এতে ক্যালোরিও অনেক কম। ১০০ গ্রাম ফুলকপিতে আমরা পেয়ে থাকি ৩১ কিলোক্যালোরি। বড়রাও অনায়াসে তাঁদের মেন্যুতে ফুলকপি রাখতে পারেন। ভাজি করার পাশাপাশি এই শীতে উষ্ণ স্যুপের মধ্যে আমরা আধাসেদ্ধ ফুলকপি রাখতে পারি, যা শরীরের পাশাপাশি আমাদের হার্ট ভালো রাখতে সাহায্য করবে। যদিও এটি সাদা রঙের সবজি, তবু এতে হার্ট ভালো রাখার উপাদান রয়েছে।
পুষ্টিবিদ ইশরাত জাহানের পরমার্শ, খেয়াল রাখতে হবে, ফুলকপি খুব বেশি সেদ্ধ করা যাবে না। আধাসেদ্ধ করে খেতে হবে। তাহলেই পাওয়া যাবে ফুলকপির যথাযথ গুণাগুণ।